দায়িত্বে অবহেলার’ অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছেন মেয়র শাহাদাত হোসেন।
মেয়রের অভিযোগ, কর নির্ধারণে অনিয়মের তদন্তে তিনি অবহেলা করেছেন। সোমবার জারি করা নোটিসে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ মে কর নির্ধারণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। কিন্তু চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্তও তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল বা দায়ীদের শনাক্তে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
নোটিসে উল্লেখ করা হয়, এর ফলে সিটি করপোরেশন বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং দোষীদের সময়মতো শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। এতে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯-এর ৬২ (২) ধারায় তার দায়িত্বে অবহেলা স্পষ্ট হয়েছে।
নোটিস পাওয়ার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ ওঠার সময় থেকেই তিনি দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু বিষয়টি আমাকে জানাননি। আমি জানুয়ারি মাসে বিষয়টি জানতে পেরে পুনরায় তদন্ত কমিটি গঠন করি। কিন্তু গত ৮-৯ মাসেও প্রতিবেদন দাখিল হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রশিক্ষণে যাওয়ার পর সচিব ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব নেওয়ার পরই আমরা তদন্ত প্রতিবেদন পাই এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই।’
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, ‘নোটিসের বিষয়ে শুনেছি, তবে অফিসিয়ালি পাইনি। ঘটনাটি ২০১৭-১৮ সালের, তখন আমি দায়িত্বে ছিলাম না। ২০২২ সালে যোগদানের পরই তদন্ত কমিটি করি। বিলম্ব হয়েছে সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কারণে।’
দুদক বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে অভিযান চালিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানের কর নির্ধারণে অনিয়মের প্রমাণ পায়। এতে দেখা যায়, এছাক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভ্যালুয়েশন ২৬ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ৬ কোটি টাকা এবং ইনকনট্রেড লিমিটেডের ভ্যালুয়েশন ২৫ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা করা হয়।
অভ্যন্তরীণ তদন্তে প্রমাণ মেলায় কর কর্মকর্তা নুরুল আলম ও উপকর কর্মকর্তা জয় প্রকাশ সেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তিন হিসাব সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
পূর্বের পোস্ট :