আট মাস আগে আত্মপ্রকাশ করা বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) তাদের নাম পরিবর্তন করে নতুন পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘জাতীয় ছাত্রশক্তি’ হিসেবে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, নামের পাশাপাশি স্লোগানেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। পুরোনো স্লোগান ‘শিক্ষা, ঐক্য, মুক্তি-মুক্তি’ পরিবর্তন করে এখন থেকে তারা ‘স্টুডেন্ট ফাস্ট, বাংলাদেশ ফাস্ট’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ের আবু সাঈদ কনভেনশন হলে ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে জাতীয় সমন্বয় সভা’য় এই নতুন সংস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে এদিন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করেছিল বাগছাস। প্রতিষ্ঠার পর অভ্যন্তরীণ বিরোধ, ডাকসু নির্বাচনে ভরাডুবি এবং সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা এড়াতে নতুন নাম ও কাঠামোয় ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির নেতাদের নিয়ে গঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর অনুপ্রেরণায় প্রতিষ্ঠিত বাগছাসের নেতারা জানিয়েছেন, তারা এখন এনসিপির পুরোনো ছাত্রসংগঠন ‘ছাত্রশক্তি’ নামে ফিরছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীবসহ আরও অনেকে।
সভায় এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে আমাদের জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পূর্ণ নিশ্চয়তা পেলে তবেই স্বাক্ষর করবে এনসিপি। এখন কেউ সেই স্বাক্ষর প্রত্যাহার করতে চায়, কেউ আবার কালি দিয়ে গেঁথে দিতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে ‘ভয়ের সংস্কৃতি’ তৈরি করেছিল। এখন আর যেন কেউ ‘গণরুম-গেস্টরুম’ বানাতে না পারে, সেজন্য ছাত্রসংসদকে সোচ্চার থাকতে হবে।
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়েও দেশের মানুষ সন্তুষ্ট হয়নি। একটি রাজনৈতিক দলের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেটা করা হয়েছে।’
পূর্বের পোস্ট :