বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ সংকটের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।
রোববার দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা জানান, মন্ত্রণালয়ে ইতিমধ্যে ২ হাজার ৮০০ পেঁয়াজ আমদানির আবেদন জমা পড়েছে। “যদি বাজারে দামের স্থিতি না আসে, তাহলে আমরা ওই আবেদনগুলো অনুমোদন দেব,” বলেন তিনি।
বাজারে পেঁয়াজের হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধিতে কোনো কারসাজি বা সিন্ডিকেট চক্রের হাত আছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের দেখিয়ে দিন কোথায় সিন্ডিকেট আছে। আমরা আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”
বাজার মনিটরিং যথাযথভাবে চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন নিয়মিত তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, “এমন কিছু ঘটেনি যাতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৪০–৫০ টাকা বেড়ে যাবে। এখনই আমদানির অনুমতি দেওয়া হলে সামগ্রিক বাজার অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। দুই সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসবে।”
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে কয়েকটি কোম্পানির সয়াবিন কেনার চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, “বেসরকারি কোম্পানিগুলো মনে করেছে ব্রাজিলের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র তাদের জন্য বেশি সুবিধাজনক, তাই তারা সেখান থেকেই কিনছে।”
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন কেনায় দেশে সয়াবিন তেলের দামে প্রভাব পড়বে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “মূলত সয়াবিন বীজ কেনার চুক্তি হয়েছে, যেখান থেকে ২৫ শতাংশ তেল পাওয়া যাবে। বাকিটা পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এখানে তেলের চেয়ে পশুখাদ্যকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহে বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। কয়েকদিন আগেও যেখানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হতো ৬০–৭০ টাকায়, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১০–১২০ টাকায়।
পূর্বের পোস্ট :