ভারতের রাজস্থানে যোধপুর থেকে জয়সলমির যাওয়ার পথে মহাসড়কে চলন্ত একটি বাসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২০ জন জীবন্ত পুড়ে মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকালের দিকে জয়সলমির-যোধপুর মহাসড়কে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ৫৭ জন যাত্রী নিয়ে জয়সলমির থেকে বিকাল ৩টার দিকে বাসটি যোধপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। পথে বাসের পেছনের অংশ থেকে হঠাৎ ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।

চালক সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার পাশে বাসটি থামালেও মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাসজুড়ে। স্থানীয় লোকজন ও পথচারীরা দ্রুত উদ্ধারকাজে এগিয়ে যান এবং পুলিশ ও দমকল বাহিনীকে খবর দেন।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। দুর্ঘটনায় পড়ার মাত্র পাঁচ দিন আগেই বাসটি কেনা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মা মঙ্গলবার রাতেই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ঘটনায় চার নারী ও দুই শিশুসহ অন্তত ১৫ জন গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কারও কারও শরীরের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে।

দগ্ধদের প্রথমে জয়সলমিরের জওহর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের যোধপুরে স্থানান্তর করা হয়।

জয়সলমির জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বাসে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত উদ্ধার ও সহায়তা অভিযান শুরু করা হয়। তবে বাসটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে এবং কয়েকজনের দেহ এমনভাবে পুড়েছে যে শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

মৃতদের পরিচয় শনাক্তে যোধপুর থেকে ডিএনএ ও ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। জেলা কালেক্টর প্রতাপ সিং বলেন, ‘আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার মতোই এবারও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে মৃতদের পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। এরপর দেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।