ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর মশাবাহিত এ রোগে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৫ জনে। একই সময়ে নতুন করে ৭৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনের একজন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং একজন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃতদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। বয়স যথাক্রমে ৩৫, ৮৫ ও ২৮ বছর।

এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৬৮৯ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া ৭৮২ জনের মধ্যে ২১১ জন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১৪২ জন, ময়মনসিংহে ৩৫ জন, চট্টগ্রামে ৮৩ জন, খুলনায় ৫৭ জন, রাজশাহীতে ৮৪ জন, রংপুরে ১১ জন, বরিশালে ১৭৮ জন এবং সিলেটে ৫ জন ভর্তি হয়েছেন।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন ২ হাজার ৪৭৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৫১ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৬২২ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল সেপ্টেম্বরে। সে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন ১৫ হাজার ৮৬৬ জন, মারা যান ৭৬ জন। অক্টোবরের প্রথম পাঁচ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৩৪৭ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।

এর আগে জুলাই মাসে ভর্তি হন ১০ হাজার ৬৮৪ জন, মারা যান ৪১ জন। জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন, জুনে ৫ হাজার ৯৫১ জন এবং অগাস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন রোগী ভর্তি হন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ করে আসছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে রেকর্ডসংখ্যক ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন এবং মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন—যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।