মারমা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির গুইমারায় সৃষ্ট সহিংসতায় নিহত তিনজনের পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন— রামসু বাজার এলাকার আলাকাই মারমার ছেলে তৈইচিং মারমা (২০), আমতলী পাড়ার থুহলাঅং মারমার ছেলে আথুইপ্রু মারমা (২১) ও চেংগুলি পাড়ার হাসু মারমার ছেলে আখ্রাউ মারমা (২২)। তারা তিনজনই গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবীব পলাশ জানান, সহিংসতায় ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ক্ষেত থেকে এক মারমা কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের ঘটনায় এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে কিশোরীর বাবা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলার পরদিন ভোরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে।
এরপর থেকেই খাগড়াছড়ি জেলায় আন্দোলন শুরু হয়। প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে আয়োজিত আন্দোলন দ্রুত সহিংস রূপ নেয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করে অতিরিক্ত সেনা ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। তবুও উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ১৪৪ ধারার মধ্যেই গুইমারায় ব্যাপক সহিংসতা হয়। সেখানে গুলিতে নিহত হন তিনজন।