মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, যদি দেশের মানুষের সুস্থতার কথা সত্যিকার অর্থে ভাবতে হয়, তবে যেকোনো মূল্যে তামাক বন্ধ করতেই হবে।
তিনি বলেন, তামাক কোম্পানি কোনোভাবেই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের স্টেকহোল্ডার হতে পারবে না। সরকারও জনস্বার্থবিরোধী কোনো কাজে কোনো অবস্থাতেই যুক্ত হবে না।
মঙ্গলবার বিকেলে সিরডাপ মিলনায়তনে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুওর আয়োজিত ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া পরিমার্জনের লক্ষ্যে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সদস্য ফরিদা আখতার বলেন, দেশে বিদ্যমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’ পরবর্তীতে ২০১৩ সালে সংশোধিত হলেও কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জনসমাগমস্থল সম্পূর্ণভাবে ধূমপানমুক্ত করা জরুরি। ধূমপানের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণের কোনো সুযোগ রাখা যাবে না—এ বিষয়টি সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, তামাক কোম্পানির নানা অপকৌশলের কারণেই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে দীর্ঘদিন বিলম্ব হয়েছে। তামাক কোম্পানি যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তাদের কোনো নৈতিক মনোবল নেই। ফলে যতই চেষ্টা করুক না কেন, তারা সফল হতে পারবে না।
ই-সিগারেট প্রসঙ্গে তিনি জনান, সরকার শুরু থেকেই এর আমদানি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একমত হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তামাকপণ্যের ক্ষতিকর দিক প্যাকেটের দৃশ্যমান স্থানে প্রকাশ করতে হবে। পরোক্ষ ধূমপানও ধূমপান সেবনের মতোই ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা যদি সচেতন হন, তবে শুধু নিজেরাই ধূমপান থেকে বিরত থাকবেন না, বরং অন্যদেরও এ অভ্যাস থেকে বিরত রাখতে পারবেন। কেবল আইন করলেই হবে না, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে তরুণদের সোচ্চার হতে হবে।”
তিনি তরুণ সমাজকে তামাকমুক্ত ও সুস্থ বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।