সার্কভুক্ত দেশগুলোর অংশগ্রহণে ঢাকায় শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী ‘সাউথ এশিয়া ট্রেড ফেয়ার ২০২৫’। একই ছাদের নিচে ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল পণ্য, ইলেকট্রনিকস, কসমেটিকস, গয়না, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্রযুক্তিপণ্য, হোম অ্যাপ্লায়েন্স ও কিচেনওয়্যারসহ দক্ষিণ এশিয়ার সেরা ব্র্যান্ডের পণ্য ও সেবা পাওয়া যাচ্ছে এই বাণিজ্য মেলায়।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় মেলার উদ্বোধন করেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।

মেলার আয়োজন করেছে সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসসিসিআই)। সহযোগিতা করেছে এফবিসিসিআই, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, এই মেলা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ও ব্যবসায়ী–উদ্যোক্তাদের মধ্যে নতুন নতুন ধারণা, জ্ঞান, প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে।

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করে নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে বড় বড় অর্থনৈতিক জোট গড়ে উঠেছে। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা এখনো তা শুরু করতে পারিনি। আমাদের এখন সম্মিলিতভাবে কাজ করে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট গড়ে তুলতে হবে।’

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ বলেন, এ ধরনের মেলা শুধু দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগে নয়, দুবাইয়ের মতো বড় শহরগুলোতেও আয়োজন করা উচিত। স্থানীয় উদ্যোক্তাদের নিয়ে মেলা আয়োজন এবং তাদের পণ্য ও সেবার ব্র্যান্ডিং প্রসারে ইপিবির পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, সামনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে। আঞ্চলিক বাণিজ্য ও অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হলে আরও সাংগঠনিকভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি দক্ষিণ এশিয়ার বৈচিত্র্যময় সম্পদভান্ডার, কাঁচামাল ও জনশক্তির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে সার্কভুক্ত দেশগুলোর ব্যবসায়ীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

সার্ক সেক্রেটারিয়েটের (ইকোনমি, ট্রেড অ্যান্ড ফাইন্যান্স) পরিচালক ভাবেশ আর ত্রিভেদী বলেন, এশিয়ার সামগ্রিক অর্থনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ার অবদান উল্লেখযোগ্য। নিজেদের মধ্যে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ও সংযোগ গড়ে তুললে এই অঞ্চলের বাণিজ্য সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবসায়ী নেতা, কূটনীতিক, সার্ক চেম্বার ও এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।