বাংলাদেশিদের জন্য নতুন করে শ্রমবাজার খুলে দিলেও গোটা দশেক শর্ত জুড়ে দিয়েছে দেশটির সরকার। বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার ওপর মালয়েশিয়া যেসব শর্ত আরোপ করেছে, তার বেশ কয়েকটি নিয়ে আপত্তি আছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

মালয়েশিয়া যে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে শ্রমিক নেবে, তাদের জন্য একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে দেশটি। সেই মানদণ্ড অনুযায়ী রিক্রুটিং এজেন্টদের ন্যূনতম পাঁচ বছরের কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা, গত পাঁচ বছরে কমপক্ষে তিন হাজার কর্মী পাঠানোর রেকর্ড এবং অন্তত তিনটি দেশে কর্মী পাঠানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

এ ছাড়া বৈধ লাইসেন্স, সদাচরণের সনদ, প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন কেন্দ্র, অন্তত পাঁচজন আন্তর্জাতিক নিয়োগকর্তার প্রশংসাপত্র, ১০ হাজার বর্গফুট আয়তনের স্থায়ী কার্যালয় এবং গন্তব্য দেশের আইন মেনে কর্মী পাঠানোর প্রমাণ থাকতে হবে।

সব মানদণ্ড মানতে গেলে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো নিয়ে ‘সিন্ডিকেট’ তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেন আসিফ নজরুল।

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট প্ল্যাটফর্ম’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “মালয়েশিয়া যেসব শর্ত দিয়েছে, তার বেশ কয়েকটি নিয়ে বাংলাদেশের আপত্তি আছে। এসব শর্ত মানতে গেলে দেশের শ্রমবাজারে নতুন সিন্ডিকেট তৈরি হবে। হাতেগোনা কয়েকটি এজেন্সি শ্রমিক পাঠাতে পারবে। আমরা চাই শ্রমবাজার প্রতিযোগিতামূলক হোক।”

তিনি জানান, ইতোমধ্যে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে যেসব শর্তে বাংলাদেশের আপত্তি আছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

“যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সুবিধাজনক অবস্থানে না পৌঁছায়, ততদিন পর্যন্ত দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলবে,” বলেন তিনি।

উপদেষ্টা আরও জানান, নতুন যে এমপ্লয়মেন্ট প্ল্যাটফর্ম উদ্বোধন হয়েছে, এর মাধ্যমে বিদেশে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন। বিশেষ করে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেতে সহায়ক হবে নতুন প্ল্যাটফর্মটি।