সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরও ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের প্রার্থীদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
বুধবার রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের জন্য ১০ হাজার ২১৯টি সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
আগামী শনিবার (৮ নভেম্বর) থেকে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে টেলিটকের ওয়েবসাইটে (http://dpe.teletalk.com.bd)।
সেখানে নির্দেশনা অনুসরণ করে ফরম পূরণ করতে হবে।
এদিন মধ্যরাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়। বৃহস্পতিবার তা তিনটি জাতীয় দৈনিকে ছাপা হবে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা।
সহকারী শিক্ষকের এসব পদে বেতন হবে ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের ত্রয়োদশ গ্রেডে।
প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। এক্ষেত্রে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ (৪ স্কেলে ন্যূনতম ২.২৫ ও ৫ স্কেলে ন্যূনতম ২.৮) আবশ্যক। শিক্ষা জীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে না।
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে কারিগরি সহায়তা দেবে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড।
আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা, সঙ্গে টেলিটকের চার্জ ১২ টাকা—মোট ১১২ টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫ এবং এর ২ নভেম্বরের সংশোধিত সংস্করণের আলোকে।
বিবাহিত নারী প্রার্থীরা স্বামী বা বাবার স্থায়ী ঠিকানার যেকোনো একটিতে আবেদন করতে পারবেন। তবে যেটি আবেদনে উল্লেখ করবেন, সেটি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানার শূন্য পদে তাঁর প্রার্থিতা বিবেচিত হবে।
নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে উপজেলা বা থানাভিত্তিক। প্রার্থী নিজ উপজেলা বা থানার শূন্য পদেই নিয়োগ পাবেন এবং তাঁর বদলি ওই উপজেলার বিদ্যালয়গুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
ধূমপান বা মাদক গ্রহণের অভ্যাস থাকা প্রার্থীদের আবেদন না করতে উৎসাহিত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রার্থীদের প্রথমে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে, এরপর উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ আগস্ট রাতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫ প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে ২ নভেম্বর প্রকাশিত সংশোধিত বিধিমালায় নতুন সৃষ্ট সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক পদ বাতিল করা হয়, যা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
বিধিমালায় এ ছাড়া কিছু শব্দগত পরিবর্তনও আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
পূর্বের পোস্ট :