অনিয়মের অভিযোগে ছুটিতে পাঠানো হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের অনুসন্ধান কার্যক্রমের প্রেক্ষাপটে ৩১ আগস্ট তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। ২৬ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে নিউজ আপডেটে জানানো হয়, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে বিচারপতি আক্তারুজ্জামানের বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য ছিল।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্গঠনের পর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিল কার্যক্রম শুরু করেন। কাউন্সিলের অপর দুই সদস্য হলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
কাউন্সিল কার্যক্রম শুরুর পর হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ. কে. এম. জহিরুল হক নিজস্ব স্বাক্ষরযুক্ত পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতিকে জমা দেন এবং ১৯ নভেম্বর তাদের পদত্যাগ গৃহীত হয়।
২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতির বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতি তাদের বেঞ্চ প্রদান স্থগিত করেন। এর মধ্যে বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন ৩০ জানুয়ারি পদত্যাগ করেন। বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম ও এস. এম. মাসুদ হোসেন দোলন স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাননি।
বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান ও আশীষ রঞ্জন দাস ইতোমধ্যে অবসর গ্রহণ করেছেন। এছাড়া সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত শেষে রাষ্ট্রপতি দু’জন বিচারপতিকে অপসারণ করেন। তারা হলেন খিজির হায়াত (১৮ মার্চ) ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামান (২১ মে)। অপর পাঁচ বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম চলছেই।
বিচারপতি আক্তারুজ্জামান জেলা জজ থাকাকালীন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছিলেন।