ঢাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিনের অবহেলার কারণেই জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সোমবার সকালের বৃষ্টির পর ঢাকার প্রধান সড়কগুলোতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার জন্যও তিনি এই অবহেলাকেই দায়ী করেন।
সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স আয়োজিত এক সেমিনারে এজাজ বলেন,
পরিবেশকে অবহেলা করে শিল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কারণেই ঢাকার এই বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
আমরা তিন মাসে ১১২ কিলোমিটার খাল উদ্ধার করেছি। আগে এই কাজের জন্য শত কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হতো। আমরা বাড়তি একটি টাকাও খরচ করিনি।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে আবদুল্লাহপুর এলাকার কনাই খাল ও ঢাকার আরেক এলাকার সনতি খাল উদ্ধার করা হয়েছে। খাল উদ্ধার করতে পারলে নদী উদ্ধারও সহজ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এজাজ বলেন, “সাড়ে ছয় মাসের দায়িত্বে আমি ঢাকার প্রতিটি নদী ইঞ্চি ইঞ্চি চিনি। শুধু রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলেই জলাবদ্ধতা নিরসন ও নদী উদ্ধারের কাজ সহজে সম্ভব।”
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুস সামাদ। তিনি জানান, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীতে আর্সেনিক ও ক্যাডমিয়ামের মতো ক্ষতিকর ভারী ধাতু পাওয়া গেছে।
বিশেষ করে বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদী ভারী ধাতুর দূষণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। নদী ধ্বংসের ফলে ঢাকার বসবাসযোগ্যতা হারানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যঝুঁকিও তৈরি হয়েছে বলে সেমিনারে উল্লেখ করা হয়।