আগামীতে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে অন্তত ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবন মিলনায়তনে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘লাইসেন্স দেওয়ার পদ্ধতিতে মূল গুরুত্ব থাকবে প্রশিক্ষণে। এখন যেসব কমিটি আছে, সেগুলো বাদ দেওয়া হবে। লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বশর্ত থাকবে, আপনাকে প্রশিক্ষিত হতে হবে। এজন্য আমরা বলেছি, আগামীতে লাইসেন্স পেতে হলে ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্ভব হলে আগামী মাস থেকেই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে। কোন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে, তা সরকার নির্ধারণ করবে। সরকার মনোনীত বেসরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) কেন্দ্র থেকেও প্রশিক্ষণ নেওয়া যাবে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেই লাইসেন্স দেওয়া হবে।’
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, প্রশিক্ষণ হবে দুই ধাপে। চালকদের সড়কের সাইন বুঝতে ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণে দক্ষ করা হবে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণের সঙ্গে শারীরিক সক্ষমতা যাচাই ও ডোপ টেস্টও বাধ্যতামূলক থাকবে।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখশ চৌধুরী এবং সেতু সচিব মো. আবদুর রউফ উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বের পোস্ট :