দুই দশকের মধ্যে এবার উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় সবচেয়ে কম পাসের হার রেকর্ড হয়েছে। ২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম ফলাফলে বড় ধস নেমেছে।

এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৭ দশমিক ১২ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৯ শতাংশ পয়েন্ট কম। অর্থাৎ প্রায় ৪৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেননি। শুধু পাসের হার নয়, জিপিএ–৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ব্যাপকভাবে কমে ৬৩ হাজার ২১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, ৯টি বোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১০ লাখ ৪৭ হাজার ২৪২ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ১৬৬ জন।

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) জানায়, ২০০৫ সালে পাসের হার ছিল ৫৯ শতাংশের বেশি। এরপর থেকে ফলাফল উর্ধ্বমুখী ছিল, তবে এ বছর সেটি দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। বিশেষ করে ইংরেজি ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে তুলনামূলক বেশি শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।

এ বছর শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমে ১ হাজার ৩৮৮ থেকে নেমে এসেছে ৩৪৫–এ। বিপরীতে শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০২টি।

আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী পাস করেনি—এটা কাঙ্ক্ষিত নয়। আমরা আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছি, দেখতে পাচ্ছি অবশ্যই গলদ আছে। সেটি ঠিক করতে হবে।’

এদিকে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি. আর. আবরার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এ বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল অনেককে বিস্মিত করেছে। শেখার সংকট শুরু হয় প্রাথমিক স্তর থেকেই, সেই ঘাটতি বছরের পর বছর সঞ্চিত হয়। আমরা দীর্ঘদিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে চাইনি। এখন সময় এসেছে সেই সংস্কৃতি বদলের।’